‘আম্মুউউউ……’ সুহান এক দৌড়ে রান্নাঘরে ঢুকে তার মাকে
জড়িয়ে ধরে।
‘এই ছাড়, ছাড়’ সুহানের মা ছেলের হাত
থেকে ছাড়া পাবার ব্যার্থ চেষ্টা করে বলেন।
‘হি হি ছাড়বো না! জানো মা আমি না একটুর জন্য সেকেন্ড হতে
পারলাম না, ঐ রহিমটা না কিচ্ছু
পারে না, আমাকে ফার্স্ট বানিয়েই ছাড়লো হতচ্ছাড়া।’ এক নিশ্বাসে কথাগুলো বলে শেষ করে সুহান।
‘ইশ! এত বড় হয়েছিস, তাও তোর ছেলেমানুষি গেল
না। ফার্স্ট হয়েছিস এটাতো আরো ভালো, বোকা ছেলে’ তরকারীটায় ঢাকনা
দিয়ে বুয়াকে দেখতে বলে সুহানের মা ছেলের দিকে স্মিত
হেসে তাকান।
কই
আর বড় হলাম, তুমি তো এখনো আমি একা একা বাইরে গেলে ভয় পাও’ সুহান একটা কৃত্রিম
দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলে।
‘পারিসও তুই, সব কিছুর জন্য কথা
রেডি। এখন যা তাড়াতাড়ি গোসল করে ফ্রেশ হয়ে নে, দুপুরের খাবার এক্ষুনি হয়ে যাবে।’ সুহানের মা ওকে ঠেলে দিয়ে বলেন। ‘যাচ্ছি মা’ বলে মায়ের গালে একটা
চুমু দিয়ে দৌড় দেয় সুহান।
সুহানের
যাবার পথের দিকে কিছুক্ষন হাস্যোজ্জ্বল মুখে তাকিয়ে থেকে ওর মা ভাবেন তার ষোল বছরের ছেলেটি আজও যেন ঠিক সেই ছোটটিই রয়ে
গিয়েছে, এখনো কত দুষ্টু।
ফেসবুক